ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সোমবার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের পরাধীন বাঙালি জাতিকে কেবলমাত্র স্বাধীনতাই দেননি, তিনি যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও আইটিইউ, ইউপিইউ এবং বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশনের বীজ বপন করে গেছেন।
স্বাধীনতার মহান স্থপতির ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিটিসিএল আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৬ বছরের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে সেই বীজ আজ বিশাল মহিরূহে রূপ নিচ্ছে। ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা কর্মসূচির রূপরেখা। এরই ফলে ২০২০ সালের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে। এ বছরের মধ্যেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফোর-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে।
বঙ্গবন্ধুর ডিজিটালাজেশনের আদর্শের পথ ধরে গত ১১ বছরে সূচিত ডিজিটাল বিপ্লবকে বিস্ময়কর উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৮ সালেও দেশে আট জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার হতো এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৮ লাখ। দেশে আজ ১৭০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং দেশে ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিস্ময়কর নেতৃত্বের একজন মহামানব। এ ভূখণ্ডের গোটা জনগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্ব অন্ধের মতো অনুসরণ করেছে, বলেন মোস্তাফা জব্বার।
বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিনের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু গবেষক কাজী সাজ্জাত আলী জহির বক্তৃতা করেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহাজাহান মাহমুদসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে সরাসরি ও ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত ছিলেন।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি