শিশুদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান এবং নিয়মিত কর্মসূচিসমূহ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব তীব্র উদ্বেগের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মহামারি যেন শিশুদের জন্য সঙ্কটে পরিণত হতে না পারে।
আজ নিউইয়র্কে ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের দ্বিতীয় নিয়মিত অধিবেশনের উদ্বোধন বক্তব্যে এসকল কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ইউনিসেফ নির্বাহি বোর্ডের সভাপতি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বব্যাপী শিশুরা যে ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হয়েছে তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, এর প্রভাবে ৮০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু চরম দারিদ্র্যের মুখোমুখি দাড়িয়েছে, ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন শিশু স্কুলের বাইরে রয়েছে আর ১ বছরের কম বয়সী ৮০ মিলিয়ন শিশু জীবনরক্ষাকারী ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোভিডের ফলে ক্ষুধার্ত শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ মিলিয়নে।
বিশ্বজুড়ে ইউনিসেফের কর্মীগণ অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিবেদিত সেবা প্রদানের মাধ্যমে অস্বাভাবিক এই পরিস্থিতিতে যেভাবে সাড়া দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানান ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি। নজীরবিহীন এই সংকট মোকাবিলায় কর্মসূচি গ্রহণের ক্ষেত্রে ইউনিসেফকে সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও উদ্ভাবনশীল সমাধানে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। পাশাপাশি জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
চলতি অধিবেশনে ইউনিসেফের ‘কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডকুমেন্ট’ সমূহের বিষয়বস্তু ‘শিক্ষা’ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে অনলাইন ও দূরশিক্ষণে প্রবেশাধিকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান নির্বাহী বোর্ড সভাপতি। প্রতিটি স্কুলকে ইন্টারনেটের সাথে এবং প্রতিটি যুবককে তথ্যের সাথে সংযুক্ত করার প্রয়াসে গৃহীত ইউনিসেফ ও আইটিই’র যৌথ পদক্ষেপ ‘গিগা’ এর সফলতার কথা তুলে ধরে তিনি সকল অংশীদারকে মহৎ এই কাজে তাদের দক্ষতা ও আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি