হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজিজারটো বলেছেন, হাঙ্গেরির ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এজন্য একটি জয়েন্ট ট্রেড কমিশন গঠন করা যেতে পারে। বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে হাঙ্গেরি এগ্রোফুড প্রসেসিং ইন্ডাষ্ট্রিসহ বাংলাদেশের বিশুদ্ধপানি ব্যবস্থাপনা ও ফার্মাসিউটিকেল সেক্টরে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক ইন্ডাষ্ট্রিতে আধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ সরবরাহ করার সুযোগ রয়েছে।
সফররত হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এর নেতৃত্বে আগত উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আজ (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্শির সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা আকর্ষনীয়, হাঙ্গেরি এসকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে চায়। করোনা মোকাবিলা এবং করোনাকালে রপ্তানি বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার প্রশংসা করে তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় হাঙ্গেরি অংশীদার হতে চায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দক্ষতার সাথে সফলভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিখাত তৈরি পোশাক। বাংলাদেশ পৃথিরীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এ সেক্টরে প্রায় ৪৮ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। সরকার এ শিল্পকে সচল রাখতে আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা চালু রেখে রপ্তানি বাণিজ্য সচল রেখেছে। তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন উন্নত দেশের চাহিদা মোতাবেক বিশ্বমানের মাস্ক পিপিইসহ বিভিন্ন মেডিকেল পণ্য রপ্তানি করছে। বাংলাদেশ কোভিড-১৯ প্রতিরোধকারী ফ্যাব্রিক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন দেশে এগুলোর চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশ বিশ্বমানের মেডিকেল পণ্য উৎপাদন করে প্রায় ১৪২টি দেশে রপ্তানি করছে।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি