রাজনীতিবিদ থেকে বড় ব্যবসায়ী- যেকোনো ধরনের হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্বদের প্রয়োজন পড়ে একজন ব্যক্তিগত সহকারী কিংবা পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (পিএস)’র । সাধারণত পিএস বা এ ধরনের পেশার মানুষেরা এক কথায় সেসব হাই প্রোফাইলদের ‘হেল্পিং হ্যান্ড’।
দেশের শোবিজ অঙ্গনও এর বাইরে নয়। প্রায় কমবেশি সব তারকাদেরই দু-একজন করে সহকারীর প্রয়োজন পড়ে। এবার নিজের জন্য ব্যক্তিগত সহকারী খুঁজছেন বর্তমান সময়ের তারকা ও মডেল জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। শুধু তাই নয়, শোবিজের পাশাপাশি আইন পেশাতেও যুক্ত; অর্থাৎ তিনি একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নিজের জন্য ব্যক্তিগত সহকারী চেয়ে একটি জব সার্কুলার (চাকরির বিজ্ঞাপন) দেন পিয়া। সেখানে নিজের প্রত্যাশা কেমন ও আবেনকারীদের যোগ্যতা কেমন হবে- সে সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি।
পোস্টে পিয়া লেখেন, আমি একজন অত্যন্ত উৎসাহী এবং উৎসাহী ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে যোগদানের জন্য খুঁজছি। যিনি আমার সঙ্গে অফিসে এবং বাইরে- উভয়দিকেই কাজে সহযোগিতা করতে আগ্রহী থাকবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই নমনীয় হতে হবে এবং কাজ সম্পর্কিত আমার সাথে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
সেখানে নিজের ই-মেইল অ্যাড্রেসটিও যোগ করে দেন পিয়া। আর সেখানে আবেদন করতে থাকেন আগ্রহীরা।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায়ে খানিকটা বিব্রত প্রকাশ করেন পিয়া জান্নাতুল। কারণ, সেই পোস্টে চাকরি প্রত্যাশীদের আগ্রহ ছিল তুলনামূলক বেশি। পিয়ার দাবি, অনেকে বেশিই উৎসাহ প্রকাশ করছেন যা অপ্রয়োজনীয়। তাদের উদ্দেশ্যে বিনীত অনুরোধও রাখেন পিয়া।
পিয়া মন্তব্য ঘরে লেখেন, ‘অনুগ্রহ করে আপনার কাজের বিবরণটি বুঝুন। আপনি যদি ঢাকা বা দেশের বাইরে থাকেন, তাহলে আবেদন পাঠাবেন না। ১৫ মিনিটে ১০০ আবেদন পেয়েছি। দয়া করে আপনার ও আমার- উভয়েরই সময় নষ্ট করবেন না।’
অনুরাগীদের কাছে পিয়া জান্নাতুল নামেই বেশি পরিচিত তিনি। ১৬ বছর বয়স থেকেই যুক্ত মডেলিংয়ে। বলে রাখা ভালো, বছর খানিক আগে এক মুচকি হাসিতে নেটিজেনদের নজর কেড়েছিলেন পিয়া জান্নাতুল। তখন থেকে রাতারাতি ন্যাশনাল হিরো হয়ে ওঠেন পিয়া। মূলত ভাইরাল সেই ভিডিওতে মুখ ঢেকে খানিক লাজুক অবস্থায় পিয়াকে হাসতে দেখা যায়। এ সময় তার পরনে ছিল না তেমন কোনো আকর্ষণীয় পোশাক; ছিলেন তার দাপ্তরিক পোশাক – কালো গাউনেই।
ভিডিওটি ভাইরালের সময়ও অনেকে জানতেনও না, মুচকি হাসিতে হৃদয় কাবু করে দেওয়া এই নারী একজন মডেল। যিনি ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খেতাব অর্জন করেছিলেন।