চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে স্বাভাবিক রয়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে যাত্রীবাহী এসব লঞ্চ সবশেষ চাঁদপুর টার্মিনাল ত্যাগ করবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
গত সপ্তাহ থেকে সহিংসতা এবং তার পরবর্তীতে পরিস্থিতি সামাল দিতে কারফিউ জারি করা হলে চাঁদপুর-ঢাকাসহ বিভিন্ন নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষজন। অনেকেই ঘরবন্দি হয়ে পড়েন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চাঁদপুরে কারফিউ শিথিল করা হয়। আর এমন পরিস্থিতিতে নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে যাত্রী সাধারণের মধ্যে। নিরাপদ, কম খরচ এবং আরামদায়ক হওয়ায় স্বল্প আয় এবং মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় নৌপথে লঞ্চে যাতায়াত।
যাত্রীদের অনেকেই জানান, প্রায় এক সপ্তাহ পর আবারও লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় তাদের জন্য বেশ উপকারে এসেছে। ব্যবসা, চিকিৎসাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে খুব সহজেই তারা এই নৌপথে যাতায়াত করতে পারছেন।
তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানান, গত কয়েকদিনে তাদের পরিবহন বন্ধ থাকায় বিপুল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। তাই বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ পেতে স্বাভাবিকভাবে নৌপথ সচল রাখার জন্য দাবি জানান তারা। এরইমধ্যে চাঁদপুর থেকে রাজধানী সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ৪ টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে গেলেও সকাল সাড়ে ১০ টায় বিপরীত দিক থেকে মাত্র ১টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর টার্মিনালে পৌঁছেছে।
চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে কর্মরত বিআইডব্লিউটিএ’র পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, সরকারের কারফিউ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চাঁদপুর টার্মিনাল থেকে সবশেষ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়ে যাবে। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত সরকারের প্রয়োজনীয় নির্দেশনার ওপর নির্ভর করবে।
চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে বড় আকারের ১০টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করলেও চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জসহ আরও কয়েকটি নৌপথে ২৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে।