ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সংঘাত বিক্ষুব্ধ রাজ্য মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর ও কাংপোকপি জেলার গহীন জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে গোপন একটি অস্ত্রাগারের সন্ধান পেয়েছে ভারতের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। অস্ত্রাগারটি থেকে বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে এই তথ্য। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতীয় সেনাবাহিনী, মনিপুর পুলিশ, কেন্দ্রীয় এলিট ফোর্স সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের যৌথবাহিনীর গত ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে চূড়াচাঁদপুর ও কাংপোকপি জুড়ে বিস্তৃত গহীন জঙ্গলে একটি গোপন অস্ত্রাগার থেকে বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।”
“এসব অস্ত্র-গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে ম্যাগজিনসহ একটি ৭ দশমিক ৬২ এমএম একে সিরিজ অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি মাঝারি আকৃতির ক্রুড মর্টার (স্থানীয়ভাবে পাম্পি নামে পরিচিত), একটি মডিফায়েড এম-১৬ অ্যাসল্ট রাইফেল, দেশে তৈরি ৭ দশমিক ৫ ফুটের একটি রকেট, দেশে তৈরি একটি বড় মর্টার এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ।”
জব্দ করা অস্ত্র-গোলাবারুদগুলো মণিপুর পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
জাতিগত বৈচিত্রে ভরপুর মণিপুরে জাতিগত দাঙ্গার শুরু গত বছর মে মাস থেকে। রাজ্যটির সংখ্যাগুরু তিন জাতি মেইতেই, কুকি ও ও চিন জাতির মধ্যে শুরু হয় সংঘাত। এদের মধ্যে কুকি ও চিনরা ঐক্যবদ্ধ।
টানা বেশ কয়েক মাস সংঘাত-সহিংসতা পর সার্বিক পরিস্থিতি থিতিয়ে আসতে শুরু করেছিল, কিন্তু ১ সেপ্টেম্বর রাজধানী ইম্ফলের পশ্চিমে কৌতরুকে ড্রোন হামলার মধ্যে দিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণের জন্য সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল প্রশাসন।