মাদারীপুরের রাজৈরে সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় বাবাকে পাগল সাজিয়ে পাবনার মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে সন্তান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ৬০ বছরের ঊর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে রশি ও কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলছেন কয়েকজন যুবক ও এক নারী। এটি ১০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দুপুরের মাদারীপুরের রাজৈরের বৌলগ্রামের ঘটনা। ঘটনার সময় ধারণ করা একটি ভিডিও আপলোড হয় ফেসবুকে। এরপর শুরু হয় সমলোচনার ঝড়।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে খলিয়া মিয়ার কাছে তার ৮ বিঘা সম্পত্তি কাগজে-কলমে লিখে চান তার ছেলেমেয়ে নাজমুল, আসিফ, রাবেয়া ও মাহদুদা এবং তার স্ত্রী হায়াতুন নেছা। কিন্তু, তা দিতে অস্বীকৃতি করে আসছিল খলিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর চালায় নির্যাতন স্ত্রী ও সন্তান। শেষমেষ খলিলকে পাগল বানিয়ে তড়িঘড়ি করে ভর্তি করা হয় পাবনার মানসিক হাসপাতালে, এমন অভিযোগ চাচাতো ভাইয়ের পরিবার ও এলাকাবাসীর।
এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
তবে, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে খলিল মিয়ার মেয়ে মাহমুদা। তার দাবি, মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার বাবাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
পুলিশ বলছে, হাতপা বেঁধে কেউ বৃদ্ধকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে এমন ঘটনা জানা নেই তাদের।
খলিল মিয়া মালয়েশিয়ায় ছিলেন ৯ বছর। পরে, সৌদি আরবে ৩ বছর থেকে হজ করে দেশে ফিরেন তিনি। নিয়মিত নামাজ আদায় করার পাশাপাশি সুস্থ জীবনযাপন করতেন বলে জানায় এলাকাবাসী।