চলছে শ্রাবণ মাস। এ সময়টাতে আবহাওয়া সহনীয়ও থাকলেও এবার কিন্তু বেশ গরম যাচ্ছে। এই সময়টাতে বিশেষ করে পানি না খাওয়ার কারণে হতে পারে ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা । আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই পানি। এ পানি শরীরের বর্জ্য নিষ্কাশন, হজম ও নানা শারীরিক ক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পানি পান না করলে এ ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তবে একটু সচেতন হলেই ডিহাইড্রেশন এড়ানো সম্ভব।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দুই গ্লাস পান করে নিন। দিনে বিরতি দিয়ে দিয়ে অন্তত অাট গ্লাস পানি পান করুন। তবে চা, কফি ও সোডার দিকে হাত বাড়াবেন না। এগুলোতে হাই ক্যাফেইন ও সুগার থাকে। যা ডিহাইড্রেশন বাড়ায়।
ট্রেডিশনাল ড্রিঙ্ক: যেসব পানীয় সবসময় তৈরি হয় যেমন- লেবুর শরবত, কমলা বা আমের জুস, ইসবগুলের ভুসি ও তোকমা দিয়ে তৈরি শরবত ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে পান করুন। এক্ষেত্রে বাজারের জুসগুলোকে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
পুষ্টি ও খনিজ: প্রচুর পরিমাণে পানি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খান। সাইট্রাস ফ্রুট, স্ট্রবেরি, শসা, টমেটো, তরমুজ ইত্যাদি সার্ভিং ডিশে রাখুন। তাজা ফলের রসও খেতে পারেন। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, লোহা, পটাশিয়াম, খনিজ, ভিটামিন সি, বি-১ ও বি-২। তবে ফলের রস করে না ছেঁকে খেতে পারলে ভালো।
খাবার মেন্যু: কম মসলার খাবার দিয়ে মেন্যু সেট করুন। স্যুপ, খেজুর, দই, দুধ, কলা, লো ফ্যাট খাবারের সঙ্গে সালাদ, উচ্চমানের পটাশিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার সংযোজন করুন। অন্যদিকে ভাজা-পোড়া ও তেলজাতীয় খাবারকে ছেঁটে ফেলুন।
ব্যায়াম: এই গরমে আপনার শরীরচর্চার সময় কমিয়ে আনুন। সন্ধ্যায় দুই ঘণ্টা পর ২৫ মিনিটের ব্যায়াম করুন। ব্যায়ামের আগে এক গ্লাস থেকে তিন গ্লাস পানি পান করুন। ব্যায়ামের শেষে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।