৩২১ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে জেতাটা স্বাগতিকদের কাছে ছিলো চ্যালেঞ্জিংই। কারণ এমন চ্যালেঞ্জে পরিসংখ্যানও বিপক্ষে ছিলো বাংলাদেশের। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করে ২৩ টেস্টের মাত্র তিনটিতে জিতেছে স্বাগতিকরা। সার্বিকভাবে টেস্টেও শেষ ইনিংসে তাড়া করে জয়ের নজির খুব বিরল। আর প্রথম এই টেস্ট জিততে হলে বাংলাদেশকে আগের তিনটি রান তাড়া করার রেকর্ডকেও পেছনে ফেলতে হতো। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের চোয়ালবদ্ধ মানসিকতার অভাবে বরং হারই সঙ্গী হলো মাহমুদউল্লাহদের। এই হারে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।
১৭ বছর পর বিদেশের মাটিতে পেলো প্রথম টেস্ট জয় পেলো জিম্বাবুয়ে। তাও ১১ মাস কোনও রকম টেস্ট না খেলে। সিলেটের অভিষেক ভেন্যু তাই পয়মন্ত হওয়ার বদলে স্বাগতিকদের ব্যর্থতার সাক্ষী হয়ে রইলো। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ১৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
তৃতীয় দিনের শেষ ভাগে বাংলাদেশ বিনা উইকেটে ২৬ রান তোলার পর আলোক স্বল্পতায় খেলা শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের ৩৫ মিনিট আগে। চতুর্থ দিন তাই খেলা শুরু হয় আধা ঘণ্টা আগে। সেই শুরুটা দেখে শুনেই করেন দুই ওপেনার। এই জুটিতে অনায়াসে স্কোর বোর্ডে জমা হয় ৫৬ রান। স্বাগতিকদের এই এগিয়ে যাওয়ায় বেশ কিছু সুযোগও মিলেছিলো জিম্বাবুয়ের।
কাইল জার্ভিসের ২০তম ওভারের শেষ বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন ইমরুল। সুবর্ণ এই সুযোগ লুফে নিতে পারেননি স্লিপের ফিল্ডাররা। মাসাকাদজা ও টেলরের ফাঁক গলে বল চলে যায় সীমানার বাইরে।
তারপর থেকে প্রথম ইনিংসের পুর্ণফলন ঘটে বাংলাদেশের। আর শেষে পর্যন্ত ১৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।
জিম্বাবুয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংস: ২৮২ (শন উইলিয়ামস ৮৮, তাইজুল ৬/১০৮) ও ১৮১ (মাসাকাদজা ৪৮, তাইজুল ৫/৬২)
বাংলাদেশ প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংস ১৪৩ (আরিফুল ৪১*, চাতারা ৩/১৯, রাজা ৩/৩৫) ও ১৬৯ (ইমরুল ৪৩, আরিফুল ৩৮, মাভুতা ৪/২১)।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি