২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তাই এবার শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল জুনিয়র টাইগাররা। যেখানে পুরোপুরি সফল হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ১৯৯ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে ৩৫.১ ওভারে ১৩৯ রান তুলতে পারে ভারত। এতে ৫৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ১ রান করেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কালাম সিদ্দিকী। ৬৫ বলে ২০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন জাওয়াদ আবরার।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আজিজুল হক তামিমও। মাত্র ১৬ রান করে ফেরেন এই টাইগার অধিনায়ক। রিজানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শিহাব জেমস। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি দুজনের কেউই।
৬৭ বলে ৪০ রান করে ফেরেন শিহাব, ৩ বলে ১ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন দেবাশীষ দেবাও। এরপর ৬৫ বলে ৪৭ রান করে রিজান আউট হলে দলীয় ১৫৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সামিউন বসির ৪ এবং ১ রান করে উইকেট মিছিলে যোগ দেন আল ফাহাদ।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন ফরিদ হাসান। তাকে সঙ্গ দেন মারুফ মৃধা। ৪৯তম ওভারে চতুর্থ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ফরিদ। ৪৯ বলে ৩৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
শেষ ওভারের প্রথম বলে ইকবাল (১) আউট হলে মারুফ মৃধার অপরাজিত ১১ রানে ভর করে ১৯৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
ভারতের হয়ে হার্দিক রাজ, যুধাজিৎ গুহ ও চেতন শর্মা দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও কিরণ চোরমলে, কেপি কার্তিকেয়া ও আয়ুশ মাত্রে একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাটিংয়ের শুরুটা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ভারত। ওপেনার আয়ুশ এক রানে ফাহাদের বলে আউট হলে, বৈভব সূর্যবংসী ৯ রান তুলে মারুফের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। দলীয় ৪৪ রানে ফেরেন সিদ্ধার্থ। এরপর ইমনের পরপর তিন শিকারে ভারতের স্কোর বোর্ডে ৬ উইকেটে ৮১ রান জমা হয়। তবে ক্রিজ আগলে খেলতে থাকেন অধিনায়ক মোহাম্মদ আম্মান। স্কোর বোর্ডে ৯২ রান যোগ করতে এবার ফাহাদের শিকারে আরও এক উইকেট হারায় ভারত।
এরপর অধিনায়কের সঙ্গী হন হার্দিক। রান বাড়তে থাকলে ভারতের ড্রেসিংরুমের আলোচনায়ও জয়ের বাতাস বইতে থাকে। তখন অধিনায়ককে ২৬ রানে থামিয়ে দেন টাইগার জুনিয়র লিডার তামিম। নিজের প্রথম ওভারেই থিতু হতে থাকা আম্মনকে আউট করেন। এরপর আর কেউ জুটি গড়তে না পারলে ১৩৯ রানে থেমে যায় ভারতের ইনিংস।