প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও তেলের জরুরি উৎস বাদাম। পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে সুস্থ থাকা সম্ভব। ভোরবেলা খালি পেটে বাদাম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়। বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। নিচে বিভিন্ন প্রজাতির বাদামের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
চিনাবাদাম : এই প্রজাতির বাদামে প্রোটিন, ফাইবার,ক্যালসিয়াম,আয়রন, সোডিয়াম,পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ,বি, সি রয়েছে।
ফলে এর উপকারিতা অনেক। যেমন : ১. প্রোটিনের ভালো উৎস। ভোরবেলা খালি পেটে বাদাম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।
২. নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে চিনাবাদাম বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে। ৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আখরোট : এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ভিটামিন।
উপকারিতা : ১. হাড় শক্ত করে ও ২. ব্রেনে পুষ্টি জোগায়।
পেস্তাবাদাম : এই ধরনের বাদামে থাকে ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার,ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন।
উপকারিতা : ১. রক্ত শুদ্ধ করে। ২. লিভার ও কিডনি ভালো রাখে।
কাজুবাদাম : এর উপাদানগুলো হচ্ছে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-এ।
উপকারিতা : ১. অ্যানিমিয়া ভালো করে। ২. ত্বক উজ্জ্বল করে। ৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আলমন্ড : এর উপাদানের মধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড ও ভিটামিন ই। তাই বাদামের রাজা বলা হয় আলমন্ডকে।
উপকারিতা : ১. শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের নানা সমস্যায় খুব ভালো। সব বাদামের মধ্যে আমন্ডে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে।
২. নিয়মিত চার-পাঁচটি আমন্ড খেলে এলডিএল কোলেস্টেরল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে না।
৩. কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
৪. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। কেমোথেরাপি চলাকালে আলমন্ড মিল্ক খেলে ইমিউনিটি সিস্টেমের উন্নতি হয়।
৫. আলমন্ডের ফাইবার শরীরে কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতি কমায়। ফলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকারি।
৬. আলমন্ড বাটা নিয়মিত লাগালে বলিরেখার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তাই নিয়মিত বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন দেখবেন আস্তে আস্তে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের শক্তিমত্তাও বাড়বে। কাজে কর্মে পাবেন পূর্ণ উদ্যোম।