চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ব্যস্ত করোনাভাইরাসের সঠিক চিকিৎসা আবিষ্কারে, এদিকে সাধারণ মানুষেরা ব্যস্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় খুঁজতে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া কিংবা নিয়মিত শরীরচর্চা করা দেখে বোঝাই যায়, মহামারী এসে আমাদের আরও স্বাস্থ্যকর করে তুলেছে।
এতদিণে আমরা সবাই জেনে গেছি যে, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ এবং সর্বোত্তম উপায় হলো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে এমন আরও অনেক পুষ্টিকর খাবার রয়েছে।
অ্যান্থোসায়ানিন হলো এরকম একটি যৌগ যা বেগুনি রঙের খাবারে পাওয়া যায়। আমাদের সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ এটি সাহায্য করে। অ্যান্টোসায়ানিনস হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফল বা শাকসবজিকে গাঢ় লাল বা বেগুনি রঙ দেয়।
অ্যান্থোসায়ানিনযুক্ত খাবারগুলোকে বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সুবিধা থাকায় সুপারফুড বলা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এখানে চারটি বেগুনি ফল / শাকসবজির তালিকা প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
পাম ফল-স্বাদে খানিকটা টক, পাম ফল ভিটামিন সি দিয়ে বোঝাই। আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে ফলটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সরবরাহ করে। কেবল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নয়, এই ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য আরও অনেক উপায়ে উপকারী।
ড্রাগন ফল-ভিটামিন সি ছাড়াও ড্রাগন ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী আরও অনেক পুষ্টি রয়েছে। কম ক্যালোরি, ফাইবার এবং উচ্চ ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত ড্রাগন ফল ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন এমন ব্যক্তির জন্যও দুর্দান্ত।
বেগুনি ফুলকপি-বেগুনি ফুলকপিও আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এই সবজি সালাদ, স্যান্ডউইচ এবং অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করতে পারেন। এই সুন্দর সবজি আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
বিটরুট-বিটরুটের বেগুনি রং উদ্ভিজ্জ রাসায়নিক থেকে আসে, যার নাম বেটালাইন। অ্যান্থোসায়ানিন্সের মতোই, বেটালাইনেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিটরুট ফোলেট, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ। ২০১৩ সালে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বিটরুটের রস নিয়মিত খেলে রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।