রোবটকে বাংলায় কথা বোঝানোর প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলা থেকে আইপিএতে রূপান্তর সফটওয়্যার ‘ধ্বনি’ ও ‘বাংলা ডট গভ বট বিডি’ ওয়েবসাইটের পরীক্ষামূলক উন্মুক্তকরণের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে রোবটকে বাংলায় কথা বোঝানোর প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ভাষা-প্রযুক্তি ও কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার অনেকগুলো সার্ভিস ও রিসোর্স তৈরি হচ্ছে।
তিনি জানান, এর মধ্যে অন্যতম হলো ২০টি পাবলিক ফেসিং সার্ভিস, ১৬টি রিসার্চ টুলস ও রিসোর্স, আট ধরনের স্ট্যান্ডার্ড ও প্রিন্টেড রিসোর্স এবং ১০ ধরনের করপাস/ডেটাসেট।
প্রকল্পটি শতভাগ জিওবি ফান্ডেড ও স্থানীয় রিসোর্স ব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে পলক বলেন, এ কার্যক্রমের মাধ্যমে অ্যাকাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে কোলাবোরেশন তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর সব বাংলা ভাষাভাষী যেমন এর প্রত্যক্ষ উপকার পাবেন। পাশাপাশি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সদস্য ও বাক-দৃষ্টি-শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীরাও এর সুফল পাবেন।
বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারলে ২০২১ সালের মধ্যে অধিকাংশ সার্ভিস জনগণের কাছে পৌঁছে যাবে বলে উল্লেখ করেন পলক। তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় বাংলা ডট গভ ডট বিডি ও ধ্বনি সফটওয়্যারটির ‘পরীক্ষামূলক সংস্করণ’ প্রকাশ করা হলো।
প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্যে হিসেবে প্রতিমন্ত্রী জানান, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ মূল কাজ। পাশাপাশি গ্লোবাল প্লাটফর্মে নেতৃস্থানীয় ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিশেষ করে কম্পিউটিং ও আইসিটিতে বাংলা ভাষাকে খাপ খাইয়ে নেওয়া হবে অন্যতম লক্ষ্য।
পলক আরো বলেন, বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে রিয়েল-টাইম অটোমেটিক স্পিচ টু স্পিচ মেশিন ট্রান্সলেশনসহ বিভিন্ন রিসোর্সের প্রয়োজন হয়।
উল্লেখ্য, বাংলা ডট গভ ডট বিডি হচ্ছে ভাষা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ের প্রযুক্তির প্লাটফর্ম। প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন করা বাংলা ভাষার বিভিন্ন সার্ভিস পাওয়া যাবে এই প্লাটফর্ম থেকে। বর্তমানে এটি প্রোডাক্ট শোকেইস ও ইনফরমেশন পোর্টাল হিসেবে ব্যবহার হবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী ও গবেষকরা সব যোগাযোগ রক্ষা করবে। এই পোর্টাল হয়ে ওঠবে বাংলা ভাষা-প্রযুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাব।
আর ‘ধ্বনি’ আইপিএ বিষয়ক অ্যাপ্লিকেশনটি হচ্ছে মূলত কনভার্টার ইঞ্জিন। যা বাংলা থেকে আইপিএতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রূপান্তর করতে পারে (ভাইস-ভার্সা হিসেবে কাজ করে)। এতে অন-স্ক্রিন কিবোর্ড ও অ্যামবেডেড ফন্ট রয়েছে।