রাবারের তৈরি নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভূ’মধ্যসাগরে অ’ন্তত ৬০ অ’ভি’বাসনপ্রত্যাশীর মৃ’ত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার হওয়া নৌকাটি থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে তারা লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ( ১৪ মার্চ) উদ্ধারকারী সংস্থা এসওএস মেডিটিরিয়ানি জানিয়েছে, একদিন আগে ইতালিয়ান কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে তারা ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। খাবার ও পানিশূন্যতায় তাদের শরীর ভয়াবহ রকমের দুর্বল ছিল বলেও জানান তারা। এ সময় দু’জনকে অচেতন অবস্থায় উড়োজাহাজে করে সিসিলি দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরে তাদের মৃত্যু হয়।
এসওএস মেডিটেরিয়ানি এক্স বার্তায় জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সাতদিন আগে লিবিয়া ছেড়েছিলেন। এর তিনদিন পর তাদের নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পানি ও খাবার ছাড়াই কয়েকদিন সমুদ্রে ভাসতে থাকেন তারা।
আর পড়ুন-
ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ নৌকা, ৩৭ অভিবাসীর সন্ধানে বিক্ষোভ
জীবিতরা জানিয়েছেন এ যাত্রায় অন্তত ৬০ জন মারা গেছেন যার মধ্যে মহিলা এবং একটি শিশু রয়েছে। তারা সবাই ক্ষুধা এবং তৃষ্ণায় মারা গেছেন। কেউ ডুবে মারা যাননি। অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন বলেও জানান তারা। উদ্ধারকৃতরা সবাই পুরুষ। এদের মধ্যে ১২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তারা সবাই সেনেগাল, মালি এবং গাম্বিয়ার অধিবাসী।
এদিকে ইতালীয় কোস্ট গার্ডের জাহাজ ভাইকিংস জানিয়েছে, তারা নৌকাটিতে অন্তত ২৫ জনকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। অন্য ২৫ জনের অবস্থা গুরুত্বর।
অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইওএম) বলেছে, যে তারা এই ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সামুদ্রিক টহল শক্তিশালী করতে এবং বিপর্যয় রোধ করতে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলেও এক্স বার্তায় জানায় সংস্থাটি। এসওএস মেডিটেরিয়ানি জানায়, ভূমধ্যসাগরের এই পথটি যেটি অভিবাসীরা অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল, সেটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সমুদ্র অভিবাসন রুটগুলোর মধ্যে একটি।
আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম-এর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর প্রায় ২ হাজার ৫শ অভিবাসী এই রুটে মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে, চলতি বছর এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২শ ২৬ জন।