বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটির জয়ের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে রয়টার্স, বিবিসি, গার্ডিয়ান, আল জাজিরা, এনবিসি নিউজ, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, সিএনএন, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৫ বছরের ক্ষমতায় বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং পোশাক শিল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য কৃতিত্ব পেয়েছেন শেখ হাসিনা। এছাড়া প্রতিবেশী মিয়ানমারে নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েও বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে আরও পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন এবং ২০০৯ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন।
নির্বাচনের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে আরেক ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান। তাদের খবরে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।’ প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের জয়ের খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছেন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী নারী সরকারপ্রধান হিসেবে নিজের খেতাব বজায় রেখেছেন তিনি।
কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা।’
বাংলাদেশের নির্বাচনের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে আরেক মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। তাদের খবরে বলা, ‘বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯৯টি আসনের মধ্যে তার দল আওয়ামী লীগ ২২৪টি আসন পেয়েছে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ থেকে জন্ম নেওয়া একটি তরুণ জাতির অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করার এবং দেশটির পোশাক খাতকে বিশ্বের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক করার কৃতিত্ব রয়েছে শেখ হাসিনার।
এছাড়া, ভারতের প্রায় সব গণমাধ্যমে উঠে এসেছে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক বিজয়ের বিষয়টি।