কাবলি প্যান্ট, ধুতি প্যান্ট শেইপের মতই অনেকটা। ধুতি প্যান্টের কুচিটা বাইরের দিকে থাকে আর এটার কুচি থাকে ভেতরের দিকে। ধুতি থেকে কাবলি প্যান্ট কিছুটা লুজ ফিটিং। অধুনা ফ্যাশনে কাবলি প্যান্টের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। বলতে গেলে জিন্সের জায়গা দখল করছে কাবলি প্যান্ট। এই পোশাকের মূল আবেদন হচ্ছে আরাম।
বিভিন্ন ফেব্রিক দিয়েই কাবলি প্যান্ট তৈরি হচ্ছে তবে লিলেন ফেব্রিকের কাবলি প্যান্ট বেশি চলছে।– এমনটাই জানালেন ফ্যাশন হাউস অনুমেঘার স্বত্বাধিকারী নিগার সুলতানা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দেখেছি যে কাবলি প্যান্ট টিনেজাররা বেশি পরছে। এর পাশাপাশি বড়রা বা মধ্য বয়সের নারীরাও কাবলি প্যান্ট পরছেন। আমি নিজেও পরছি। টিনেজাররা টি শার্টের সঙ্গে কাবলি প্যান্ট মিলিয়ে পরছে। এ ছাড়া টি শার্ট টাইপের যেসব ফতুয়া সেগুলোর সঙ্গেও মিলিয়ে নিচ্ছে এই বটমওয়ারটি। ছোট কুর্তির সঙ্গেও কাবলি প্যান্ট মানানসই। আমি নিজে ফতুয়ার সঙ্গে কাবলি প্যান্ট পরছি ।’
শিক্ষার্থীরা যখন কোচিংয়ে বা ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছে তখন কাবলি প্যান্ট পরতে পারে। এ ছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে চা আড্ডায় কাবলি প্যান্ট উপযোগী পোশাক। এই পোশাকে সাধারণত ক্যাজুয়াল লুক ফুটে ওঠে।
নিগার সুলতানা বলেন, দেখা যায় যে আমি কোথাও সাধারণ লুকে যেতে চাচ্ছি তখন কাবলি প্যান্ট পরি। আবার ধরা যাক আমি কোথাও যাচ্ছি জিন্স পরতে চাচ্ছি না আবার থ্রি-পিসও পরতে চাচ্ছি না। আবার অনেক সময় অনেক জায়গা থাকে যেখানে জিন্স আউটফিট হিসেবে খুব একটা গ্রহণযোগ্য নয়। তখন আমি কাবলি প্যান্ট পরি। আমার ছেলে এইচএসসিতে পড়ে। তো দেখা যায় যে প্যারেন্টদের গেট টু গেদার থাকে তখন দেখা যায় যে একটি টপস পরি আর কাবলি প্যান্ট পরি, এভাবেই চলে যাই।
কাবলি প্যান্টের সঙ্গে মাননসই জুতা: কাবলি প্যান্টের সঙ্গে কুর্তি পরলে শর্টস এবং ঢিলেঢালা কুর্তি বেছে নিতে পারেন। এই প্যান্টের সঙ্গে ফ্ল্যাট জুতা সবচেয়ে বেশি মানানসই।