সারা বিশ্বে দুই থেকে তিন হাজার পান্ডা জীবিত আছে। তার মধ্যে কয়েকশো পান্ডা চিড়িয়াখানা বা অন্য কোথাও আছে। বাকি পান্ডাগুলো আছে জঙ্গলে।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সারা বিশ্বে মাত্র ১ হাজার ৮৬৪টি পান্ডা জীবিত আছে। তার মধ্যে ১০০টি আছে বিভিন্ন চিড়িয়াখানায়।
পান্ডারা বন্য অঞ্চলে প্রায় ১৫ থেকে থেকে ২০ বছর বেঁচে থাকে। তবে যারা বন্দী থাকে তারা আরও বেশি দিন বাঁচতে পারে। পান্ডা ইকোসিস্টেমে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৭টি চিড়িয়াখানা রয়েছে। যেখানে পান্ডাদের রাখা হয় এবং প্রজননকে উত্সাহিত করার জন্য পরিবেশ দেয়া সম্ভব হয়েছে। বন্য পান্ডাদের সংরক্ষণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাদের পরিবেশ রক্ষা করা, বিশেষ করে বাঁশের বন।
সুন্দর ও আদুরে চেহারার জন্য পান্ডা বেশিরভাগ মানুষেরই খুব প্রিয় প্রাণী। কিন্তু যেভাবে দিনদিন পান্ডার সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তাতে পরিবেশবিদরা উদ্বিগ্ন।
অবশ্য তাদের বিপন্ন অবস্থায় জন্য দায়ী পরিবেশ। এছাড়া আরও একটি কারণ হলো পান্ডাদের কম জন্মহার। বন্যপ্রাণ রক্ষা আন্দোলনকারীরা পান্ডা বাঁচানো এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের পরিবেশ রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পান্ডা মূলত চীনের হলেও অন্যান্য দেশেও দেখা যায়। তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম, এমন জায়গাতে থাকে পান্ডা।
পান্ডার সারা গায়ের রং সাদা হলেও, চোখের চারপাশ কালো হয়। রেড পান্ডার শরীরের নিচের অংশ কালো হলেও, উপরের অংশ লালচে বাদামি হয়। চোখ, মুখ, গাল ও কান আবার সাদা হয়।
পান্ডা সাধারণত বাঁশ গাছ খায়। তবে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যাওয়ার ফলে পান্ডাদের খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা বদল এসেছে।
জঙ্গলে পান্ডারা সাধারণত একা থাকে। প্রতিটি পান্ডা নিজেদের জন্য অঞ্চল নির্দিষ্ট করে নেয়। মিলনের সময় ছাড়া বাকি সময় তারা আলাদাই থাকে।
জাতীয় পান্ডা দিবসের ইতিহাস
১৯৬১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার পান্ডাকে ঘিরে তাদের লোগো তৈরি করেছিল। পরে পান্ডা বিশ্বজুড়ে পান্ডা সংরক্ষণ আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে। ২০২০ সালে চিড়িয়াখানায় প্রজনন প্রচেষ্টা, পুনর্বনায়ন এবং সংরক্ষণ অভিযানের কারণে, পান্ডাদের বিলুপ্তির জন্য “সুরক্ষিত” হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২০১৫ সালে দ্য সোসাইটি ফর কনজারভেশন বায়োলজি দ্বারা প্রকাশিত একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র অনুসারে, দৈত্য পান্ডার প্রাকৃতিক আবাস সংরক্ষণ দেশের ৭০ শতাংশ বনের পাখি, ৭০ শতাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং ৩১ শতাংশ উভচর প্রাণীকেও সাহায্য করে।