সাম্প্রতিক সময়ে রেকর্ড গড়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে কমেই চলেছে স্বর্ণের দাম। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে (সোমবার, ১৮ মার্চ) নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দর হ্রাস পেয়েছে। আগের সপ্তাহেও পতনের মধ্যে ছিল এটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আলোচ্য কার্যদিবসে স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দাম স্থির হয়েছে প্রায় ২০৪৮ ডলারে। চলতি মাসের শুরুর দিকে যা ছিল ২১৯৫ ডলার। সর্বকালে তা ছিল সর্বোচ্চ।
অর্থাৎ এর আগে ইতিহাসে কখনো এত দর দেখেননি বিশ্ববাসী। সেই হিসাবে প্রায় ২ সপ্তাহের ব্যবধানের স্বর্ণের দরপতন ঘটেছে অন্তত ১৪৭ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা কমপক্ষে ১৬ হাজার ১৪০ টাকা।
সম্প্রতি অর্থনীতির উপাত্ত প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে দেখা গেছে, বিদায়ী ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া উৎপাদন ব্যয়ও ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। ফলে মার্কিন মুলুকে আবারও মূল্যস্ফীতি চড়া হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। তাতে চাপে পড়েছে বুলিয়ন বাজার।
এর আগে বিনিয়োগকারীরা ধারণা করেছিলেন, আগামী জুনে সুদের হার কমাতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ফলে বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল স্বর্ণের দর। কিন্তু দেশটির সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উপাত্ত তাতে লাগাম টেনেছে।
ক্যাপিটাল ডটকমের আর্থিক বাজার বিশ্লেষক কাইল রোড্ডা বলেন, প্রত্যাশা করা হচ্ছিল চলমান বছরের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত ৩ অথবা ৪বার সুদের হার কমাতে পারে ফেড। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সেটা ১ বা ২বার হ্রাস করতে পারে। ফেডের নীতি-নির্ধারকদের বক্তব্যে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ফলে স্বর্ণের দাম কমছে।