খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বৈধ আমদানিকারকগণকে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য গত ৩ জানুয়ারি ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন, গত ৪ জানুয়ারি ১২ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন এবং ৫ জানুয়ারি ৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৬৫ হাজার মেট্রিক টনসহ সর্বমোট ৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করে আমদানির অনুমতি প্রদানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।
বরাদ্দ পত্র ইস্যুর ৭ দিনের মধ্যে এলসি খুলে এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়। ৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীগণকে এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ২০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল এবং ১০ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীগণকে এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ৩০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।