কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথমবারের মতো ৩০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াস সবজির চাষ করা হয়েছে। মাত্র ৪৫ দিনেই বিদেশি এ সবজির ফলন ভলো হওয়ায় লাভের আশা করছেন, উপজেলার দক্ষিণ চরপুক্ষিয়া গ্রামের কৃষক আলমগীর। এদিকে, উচ্চ ফলনশীল জাতের এ নতুন সবজি সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং একই সাথে বাজারে ভালো দাম থাকায়, আলমগীরকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কটিয়াদী উপজেলার দক্ষিণ চরপুক্ষিয়া গ্রামের কৃষক আলমগীর। ইন্টারনেটে চাষ দেখে, কৃষি কর্মকর্তার সার্বিক পরামর্শে এলাকায় প্রথমবারের মতো ৩০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ সবজির চাষ করেছেন তিনি।
দেখতে শসার মতো কুমড়া জাতীয় এ সবজি অতি পুষ্টিকর, সুস্বাদু, স্বল্পমেয়াদি, উচ্চ ফলনশীল ও লাভজনক। ইতিমধ্যে, স্কোয়াশ চাষ করে এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছেন আলমগীর। বর্তমানে তার ক্ষেতে সবজিটির ভালো ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজারে দাম ভালো থাকায় লাভের আশা করছেন তিনি।
এদিকে, তার এ জমিতে কাজ করে অনেকেরই কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়া, এলাকার অন্যান্য চাষিরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন স্কোয়াশ চাষে।
অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় স্কোয়াশ চাষে এ অঞ্চলের কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে বলে জানালেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
স্কোয়াশ একটি দ্রুত বর্ধনশীল সবজি এবং তেমন কোনো রোগেরও উপদ্রব নেই। তাছাড়া, অল্প পরিশ্রমে চাষকৃত এ সবজিটি বিক্রির মাধ্যমে অধিক আয় করা সম্ভব। তাই বাণিজ্যিকভাবে এর চাষাবাদ শুরু হলে দেশে কৃষি অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।