আর কয়দিন পরেই হাওরসহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হবে বোরো ধান কাটার উৎসব। কিন্তু, হঠাৎ করে গত ৪ এপ্রিল, নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলের ওপর দিয়ে গরম বাতাস বয়ে যাওয়ায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী গরম দমকা বাতাসে উঠতি ফসলের শীষ শুকিয়ে মরে গেছে।
জেলার অন্যান্য উপজেলায় ক্ষতি কম হলেও মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি। এদিকে, হঠাৎ করে বোরোর এমন ক্ষতি হওয়ায় হতাশায় পড়েছেন এসব এলাকার চাষিরা। তারা জানান, হাওরাঞ্চলে মোট ১০ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান এবং ৭ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে বিআর-২৯ জাতের ধান রোপন করা হয়েছিল। কিন্তু, অতি গরম আবহাওয়ার কারণে বেশির ভাগ জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
সাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, হাওরের কৃষকরা এই বোরো ফসলের ওপরই নির্ভরশীল। এমন ক্ষতিতে তারা দিশেহারা। এ অবস্থায় সরকারি সহায়তা না পেলে অনেক কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বেন।
এদিকে, ক্ষয়ক্ষতি দেখতে জেলার বিভিন্ন হাওরাঞ্চল পরিদর্শন করেছেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। কৃষকরা যেনো সরকারের সহযোগিতা পায়, সেজন্য তাদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তত করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান ।
নেত্রকোণায় এ বছর মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে জেলার হাওরাঞ্চলে করা হয়েছে মোট ৪০ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে। এবং জেলায় এ মৌসুমে বোরোর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১১ লাখ ৫০ হাজার, ৫৭০ মেট্রিক টন ধান।