রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করার সময় একটি ইউক্রেনীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (২৬ আগস্ট) এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইউক্রেনে চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিমানের চালান আসার পর প্রথম এই ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনীয় জেনারেল স্টাফ বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে জানান, রুশ লক্ষ্যবস্তুর কাছে যাওয়ার সময় যুদ্ধবিমানটি নেমে এসে ভূমিতে বিধ্বস্ত হয় এবং এর পাইলট মারা যায়।
ওই পোস্টে আরও বলা হয়, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানটি ‘উচ্চ দক্ষতা দেখিয়েছে’ এবং চারটি রুশ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া সেদিন দেশটির জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে ২০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল।
একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী লক্ষ্যের কাছে যাওয়ার সময় একটি বিমানের সঙ্গে আমাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে দেখা যায়, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং পাইলট মারা যান।’
এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, সোমবারের দুর্ঘটনাটি রাশিয়ার হামলার কারণে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। পাইলটের ত্রুটি থেকে যান্ত্রিক ব্যর্থতাসহ সম্ভাব্য কারণগুলো নিয়ে এখনও তদন্ত হচ্ছে।
ইউক্রেন তার নতুন নৌবহরের আকার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। যদিও এই ঘটনায় একটি উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।
একটি সূত্রের বরাতে টাইমস অব লন্ডন জানিয়েছে, ইউক্রেনের মোট ছয়টি যুদ্ধবিমান ছিল।
৪ আগস্ট প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, ইউক্রেনের কাছে এফ-১৬ বা পর্যাপ্ত যুদ্ধবিমান ব্যবহার করার জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত পাইলট ছিল না।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড ফেসবুকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সোমবার একটি যুদ্ধ অভিযানে পাইলট ওলেক্সি মেস শহীদ হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিজের জীবনের বিনিময়ে ওলেক্সি ইউক্রেনীয়দের মারাত্মক রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।’