ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফ নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গত বছর জুলাইয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন মোহাম্মদ দেইফ। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায় যে, তারা জুলাইয়ে দেইফকে হত্যা করেছে। তখন হামাস বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
২০২৪ সালের আগস্টে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, তাদের সামরিক বাহিনী দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসিতে ১৩ জুলাই একটি বিমান হামলায় দেইফকে হত্যা করেছে। কিন্তু হামাস সেই সময় এই খবর অস্বীকার করে। তখন হামাস বলেছিল, দেইফকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের অপারেশন ভুল ছিল।
দেইফকে গাজায় হামাসের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ইয়াহিয়া সিনওয়ারের পরেই ছিল তার অবস্থান। ইয়াহিয়া সিনওয়ারও গত বছর ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হন।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গত বছর মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। একই সঙ্গে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।
গত বছরের মার্চে মারওয়ান ইসার মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তিনি হামাসের সামরিক শাখার ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন এবং ইসরাইলের মোস্ট-ওয়ান্টেড ব্যক্তিদের তালিকায় ছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেছিল। ইসার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবরের হামলায় সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে দেইফ অন্যতম ছিলেন। সেই হামলায় ১২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।