রায় পড়তে গিয়ে বিচার মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল লিন হুই-হুয়াং বলেন, ‘‘ব্যভিচার আইন বিয়ে টিকিয়ে রাখতে খুব অল্পই সহায়ক ছিল৷ তাছাড়া বিয়ের সম্পর্কে রাষ্ট্রের নাক গলানো আসলে বিয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে৷”
তিনি বলেন, ব্যভিচার আইন একজন মানুষের যৌন স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ এবং ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তার উপর মারাত্মক হামলা’ ছিল৷
তাইওয়ানের ব্যভিচার আইনে একজন বিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে বিয়েবহির্ভূত যৌনমিলনের জন্য সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান ছিল৷
ব্যভিচার আইন প্রয়োগ করে তাইওয়ানে শাস্তি দেয়ার সংখ্যা খুব বেশি ছিল না৷ তবে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ ছিল, বৈবাহিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের সময় নারীদের উপর চাপ প্রয়োগ করতে এই আইন ব্যবহার করা হতো৷
মানবাধিকার কর্মীরা তাইওয়ান আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন৷
এর আগে গতবছর এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে তাইওয়ান সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধ ঘোষণা করেছিল৷
২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়া এবং ২০১৮ সালে ভারত ব্যভিচার ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে না বলে রায় দিয়েছিল৷