ফের ভারতের প্রতি নেপালের বিমাতৃসুলভ আচরণ। ইতিমধ্যেই ভারতের তিন জায়গাকে নিজেদের বলে দাবি করে নয়া মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেপাল। নেপালের মানচিত্রে যুক্ত করা হয়েছে ভারতের তিনটি অংশকে। এরই মধ্যে শুরু হল নয়া বিতর্ক।
নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাম বাহাদুর থাপা শনিবার জানিয়েছেন শুধুমাক্র ভারতীদের জন্য নাগরিকত্ব বিলে সংশোধনী আনা হয়েছে। কোনও নেপালি নাগরিককে যদি কোনও ভারতীয় মহিলা বিয়ে করেন, তবে বিয়ের সাত বছর তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য। এই ঘোষণা করার সময়ে ভারতের নাগরিকত্ব আইনের কথা তুলে ধরেন থাপা। তিনি বলেন ভারতেও সাত বছর সময় নেওয়া হয় নাগরিকত্ব দিতে।
থাপার মতে কোনও মহিলা কোনও ভারতীয়কে বিয়ে করলে, তাঁকেও সাত বছর অপেক্ষা করতে হয়।
যদিও নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিষয়টির উল্লেখ করেননি, যে ভারতের এই আইন নেপালের ক্ষেত্রে লাগু হয় না।
এদিকে, বিতর্কের মাঝেই নেপালের অ্যাসেম্বলিতে সংবিধান সংশোধনীর পর পাশ হয়ে যায় নয়া ম্যাপ। বৃহস্পতিবার সেই সংশোধনী পাশ হয়ে যায়। এবার থেকে নেপালের সরকারি মানচিত্রে কালাপানি দেখা যাবে। তার মধ্যে রয়েছে ভারতের তিনটি এলাকা। কালাপানি ছাড়াও রয়েছে লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এলাকা। এই মানচিত্র প্রকাশ করার পরেই সামরিক তৎপরতাও শুরু হয়েছে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে। যা ইতিহাসে কখনও ঘটেছে কিনা তা অনেকেই মনে করতে পারছে না।
যদিও সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর পিছনে রয়েছে কমিউনিস্ট চিনের মাথা! জানা যাচ্ছে, ইন্দো-নেপাল সীমান্ত বরাবর সেনা বাড়াচ্ছে নেপাল। শুধু তাই নয়, তৈরি করা হচ্ছে সেনা ক্যাম্পও। একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হেলিপ্যাড বানানোর কাজও করা হচ্ছে।
স্থানীয় মানুষজন জানাচ্ছেন, লিপুলেখ এলাকায় হঠাত করেই গত কয়েকদিনে নেপাল সেনার তৎপরতা ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে গিয়েছে। জাতীয় এক সংবাদমাধ্যম সেনা তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার বেশ কিছু ছবি প্রমাণ হিসাবে হাতে পেয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গলের মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্যাম্প বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। যদিও এই ছবিতে যে ক্যাম্পগুলি দেখা যাচ্ছে সেগুলি অস্থায়ী ক্যাম্প বলা হচ্ছে। সূত্র: কোরকাতা ২৪