কোভিড-১৯ সংকটকালে উন্নয়নশীল দেশগুলোর দারিদ্র বিমোচনে দায়িত্বশীল বাণিজ্যিক আচরণ এবং অভিবাসী কর্মীদের প্রতি মানবিকতা প্রদর্শণ করতে উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা ।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর দারিদ্র্য বিমোচনে রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাবাব ফাতিমা বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে চলমান উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম (এইএলপিএফ) এর একটি সাইড ইভেন্টে বক্তব্য প্রদানকালে এ আহবান জানান। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
কানাডার পক্ষ থেকে আয়োজন করা ‘দারিদ্র্য বিমোচন বৈশ্বিক অগ্রগিত অব্যাহত রাখা ও এগিয়ে নেয়া : কোভিড-১৯ এর সংকট মোকাবোলা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এ আলোচনায় তিনি বলেন, “দারিদ্র্য বিমোচন এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অর্জন আজ তীব্র ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সংরক্ষণবাদের সময় নয়; এটি বৈশ্বিক সংহতিকে বহুগুণ বৃদ্ধি করার সময়”।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকার সাহসী, অটল, জনকেন্দ্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করায় বাংলাদেশের লাখ-লাখ মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে।
এ পরিপ্রক্ষিতে শেখ হাসিনা সরকার গৃহীত দারিদ্র্য বিমােচন কৌশলসমূহ যেমন- ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় স¤প্রসারণ, আর্থিক প্রণোদনা, নারী ও যুব শিক্ষা, লিঙ্গসমতা, আইসিটি ও ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার, শক্তিশালী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বিনির্মাণ ইত্যাদি সুধিজনদের সামনে তুলে ধরেন বাংলােদেশর স্থায়ী প্রতিনিধি। (সুত্র: বাসস)