জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পরই বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছিল পোর্টল্যান্ডে। জেকব ব্লেককে বর্ণবাদী পুলিশের সাতটি গুলির পর বিক্ষোভ বাড়ে। শনিবার সেখানে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স আওয়াজ তুলে বিক্ষোভ হচ্ছিল। তখন শুরু হয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পপন্থীদের পাল্টা বিক্ষোভ। দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কয়েক হাজার ট্রাম্পপন্থী বিক্ষোভ দেখিয়ে চলে যাওয়ার পরে দেখা যায়, এক জনের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ এর বিস্তারিত বিবরণ দেয়নি। তারা বলেছে, ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী থাকলে তাঁরা যেন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, তদন্ত প্রাথমিক স্তরে আছে। তাই তদন্তকারীদের সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে। তবে ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তি অতি দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠী প্যাট্রিয়ট প্রেয়ার-এর টুপি পরে ছিলেন। সম্প্রতি ওই গোষ্ঠীর সদস্যরা ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স-দের সঙ্গে পোর্টল্যান্ডে বেশ কয়েকবার ঝামেলায় জড়িয়েছে।
এই ঘটনার পরই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রার্থী ডোনান্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন-এর মধ্যে কথার লড়াই শুরু হয়ে গেছে। একগুচ্ছ টুইট করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘পোর্টল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট মেয়র প্রশাসক হিসেবে ব্যর্থ। তিনি থাকলে পোর্টল্যান্ড আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। মেয়র তো নিজের বেসমেন্টে গিয়ে বসে আছেন। নেতৃত্ব দেয়া দূরে থাক, তিনি একটা কথাও বলতে পারছেন না।’
আর বাইডেন বিবৃতিতে বলেছেন, আইন ও শৃঙ্খলারক্ষার কথা বলে ট্রাম্প দেখাতে চান, তিনি খুব শক্তিশালী নেতা।
কিন্তু ট্রাম্পের সমর্থকরা ঝামেলা চাইছিল। তিনি তো তাঁদের কিছুই বললেন না। এটাই দেখিয়ে দিচ্ছে তিনি কতটা দুর্বল। ট্রাম্পের প্রচারে এ বার খুবই গুরুত্ব পাচ্ছে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি। সূত্র: ডয়েচে ভেলে