বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করে দিলো সরকার। মিলগেট, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে আলাদা আলাদা দামের কথা জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার সকালে সচিবালয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভাশেষে নির্ধারিত দামের বাইরে কেনাবেচা না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খোলা সয়াবিন মিলগেটে বিক্রি হবে প্রতি লিটার ১০৭ টাকা দরে। যা পরিবেশক বা পাইকারি পর্যায়ে হবে ১১০ এবং খুচরায় বিক্রি হবে ১১৫ টাকা প্রতি লিটার। এছাড়া পামওয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মিলগেটে ৯৫ টাকা, পরিবেশক বা পাইকারি পর্যায়ে ৯৮ এবং খুচরায় ১০৪ টাকা লিটার।
পাশাপাশি বোতলজাত সয়াবিন প্রতিলিটার মিল গেটে ১২৩, পরিবেশক পর্যায়ে ১২৭ ও খুচরা ১৩৫ টাকা বিক্রি হবে। এছাড়া সয়াবিনের ৫ লিটার বোতল মিল গেটে ৫৯০, পরিবেশক পর্যায়ে ৬১০ ও খুচরা ৬৩০ টাকা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় দর নির্ধারণ কমিটি।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার তুলনায় সয়াবিন ও পাম অয়েলের সরবরাহ কম—এমন অজুহাতে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত ১০ বছরের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এক মাসের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর বছর ব্যবধানে এ বৃদ্ধির হার ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। ৮৮ টাকা লিটার দরের সয়াবিন তেল এখন কোথাও বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা আবার কোথাও ১১৫ টাকা। একই পণ্যের দামে এত পার্থক্যের কোনও ব্যাখ্যা কারও কাছে নেই। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত এক বছরে দেশে সয়াবিন তেলে ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ ও পাম অয়েলের ২২ দশমিক ৮৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।