বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যবসা শাখার শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩ শিক্ষার্থী ঘটনার পরদিন ৬ মে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হলে তারা এর সত্যতা পায়।
ঘটনার দিন (৫ মে) ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আইসিটি ক্লাস ছিল। মাইদুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষক ক্লাসে গিয়ে ছাত্রীদের গায়ে-পিঠে হাত দেন বলে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের জানায়। এ নিয়ে অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষকের এমন আচরণ দীর্ঘদিনের। এমন হলে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো দায় হয়ে উঠবে। এজন্য ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
শিক্ষক মাইদুল ইসলাম প্রথমে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন মুঠোফোনে। তিনি বলেন, মূলত স্কুলের কিছু ভিতরগত রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামনা বলেন, ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ৯ মে স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভা ডেকে তাকে পুরোপুরি বরখাস্ত করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল জানান, তারা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেবেন। চুক্তিভিত্তিক এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও স্কুলে কোচিং করানো নিয়ে ছাত্রীদের হয়রানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।