গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরারত একটি ফিশিং ট্রলারে জলদস্যুরা হামলা চালিয়ে জেলেদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করে সাগরে ফেলে দিয়ে ৬৫ টি অশ্বসত্যি সম্পন্ন একটি ফিশিং ট্রলার ডাকাতি করে নিয়ে এসেছে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর নয়া পাড়া নামক স্থানে বলে জানাগেছে। ওই ফিশিং বোটে থাকা ২২ জেলেদের মধ্যে ১৮ জন অন্যান ট্রলারে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ৪ জেলে গত তিন ধরে সন্ধান মিলছেনা।
এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ মার্চ শনিবার গভীর রাতে।
ঘটনা বিবরণে জানা যায়,মাতারবাড়ীর নয়া পাড়া এলাকার জলদস্যু সর্দার যু্বলীগ নেতা ফারুক ও রমজান আলীর নেতৃত্বে বহু মামলার পলাতক আসামী মাতারবাড়ীর বাসিন্দা সোহেল, নব্য জলদস্যু রোকুনোজ্জামানসহ ১৫/২০ জনের একদল জলদস্যু সাগরে দস্যুতা করে আসছিল।
তবে অন্যান জলদস্যুরা পালিয়ে গেলেও বঙ্গোপসাগরের জেলেরা জলদস্যু রমজান আলী (৪০) কে আটক করে। এর ধারাবাহিকতায় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১ এপ্রিল সোমবার কক্সবাজার সদরে অভিযান চালিয়ে মাতারবাড়ী ফারুক (৩০) ডাকাতকে ধৃত করেছে পুলিশ। এসময় লুণ্ঠিত মালামাল ও বোট উদ্ধার করেছে মাতারবাড়ী পুলিশের আইসি আনিছের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স। দুই জলদস্যু গ্রেফতারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রেফতার এড়াতে বাকি জলদস্যুরা গা ঢাকা দিয়েছে। ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, আমাদের একটি আতংক তা হল জলদস্যু। জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে মৎস্য উৎপাদন আরোও বহু গুণে বেড়ে যাবে।
মহেশখালীর জেলে ওমর আলী বলেন, গত বছরের ২০ অক্টোবর মহেশখালী-কুতুবদিয়া ভিত্তিক জলদস্যুদের কয়েকটি গ্রুফ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র ও গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করলে সাগরে কিছু দিন সুনসান নিরবতা বিরাজ করে জেলে পল্লীতে আনন্দের বন্যা সৃষ্টি হয়। তিনি আরেও বলেন, দস্যুরা ট্রলারের মাছ, জাল ও জ্বালানি লুটের পাশা-পাশি বেদম মারধর করে জেলেদের সাগরে ফেলে দেয়। একই সঙ্গে জেলেদের অপহরণ করে আদায় করছে মোটা অংকের টাকা। তবে আমরা বঙ্গোপসাগরকে নিরাপত্তা করার দাবী জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট।
মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্রধর বলেন, চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া আলা উদ্দিন নামে একটি ফিশিং ট্রলার ডাকাতি হলে উদ্ধার করা হয়েছে। ফিশিং বোট ডাকাতির সাথে মাতারবাড়ী একটি দস্যু দল জড়িত রয়েছে যতটুকু জানি।