দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাটের দুটি আসনে ১৫ প্রার্থীর মধ্যে ১১ জনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজীর কার্যালয়ে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণার পর এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনও আসনে প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ অর্থাৎ আট ভাগের এক ভাগ বা ১২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কম পেলে ওই প্রার্থীর জামানত ফেরত দেওয়া হবে না। সেই জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট-১ (সদর ও পাঁচবিবি) আসনে প্রার্থী ছিলেন সাত জন, এর মধ্যে পাঁচ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ জন। এখানে ১৫১টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে এক লাখ ৬৩ হাজার ৯০০টি। এর আট ভাগের এক ভাগ হচ্ছে ২০ হাজার ৪৮৭ দশমিক ৫ ভোট, যা পাননি পাঁচ প্রার্থী।
জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর) আসনে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ছয় প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৫ হাজার ৯৭২জন। ১০৩টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৯টি। এর আট ভাগের এক ভাগ হচ্ছে ২৪ হাজার ২৯২ দশমিক ৩৭৫ ভোট, যা পাননি ছয় প্রার্থী।
জয়পুরহাট-১ (জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি) আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, এনপিপি, তৃণমূল বিএনপি ও স্বতন্ত্র পদে সাত প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। এ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ জন।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকার সামছুল আলম দুদু পেয়েছেন ৯৬ হাজার এক ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের আব্দুল আজিজ মোল্লা পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৭৭৬ ভোট।
এই আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থী জাতীয় পার্টির এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৩২৯, তৃণমূল বিএনপির মাসুম সোনালী আঁশে ৪৭০, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি রুকুনুজ্জামান আম প্রতীকে ৫০৯, স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম ঈগল প্রতীকে পাঁচ হাজার ৪৬০, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম রায়হান মন্ডল মনু ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ছয় হাজার ৬২৬ ভোট।
জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৫ হাজার ৯৭২ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, এনপিপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ ও স্বতন্ত্রসহ আট প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একাদশ সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন পেয়েছেন এক লাখ ৫১ হাজার ১২৮ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকে গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৪১ ভোট।
জামানত হারাচ্ছেন- জাতীয় পাটির আবু সাইদ নুরুল্লাহ লাঙ্গল প্রতীকে দুই হাজার ৪১, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন মশাল প্রতীকে ৫৩৪, বাংলাদেশ কংগ্রেসের নয়ন ডাব প্রতীকে ২০৮, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপির আবু সাঈদ আম প্রতীকে ৭৫২, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক সরদার ঈগল প্রতীকে ৩৬২ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আতোয়ার রহমান মন্ডল ট্রাক প্রতীকে ৭৯৫ ভোট পেয়েছেন।