শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। হামলার শিকার চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বী হাসপাতালের বেড থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। পরে গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে।
নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রাইব না করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই নারী চিকিৎসকের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় কয়েকজন নেতা ও ওষুধ কোম্পানির কর্মীর বিরুদ্ধে।
গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে বাড়ি ফেরার পথে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
হামলায় ডা. নুসরাত তারিন তন্বী ও তার স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাফি আহত হন। আহত অবস্থায় বাসায় পৌঁছালে হামলাকারীরা আবারও তাদের ওপর চড়াও হয়। বাধা দিতে গেলে ডা. তন্বীর মাও হামলার শিকার হন। পরবর্তীতে রাতে তন্বী ও তার মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, ডা. নুসরাত তারিন তন্বী হাসপাতালের বিছানা থেকে সরাসরি ফোন দিয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে। মন্ত্রী তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন এবং যত দ্রুত সম্ভব আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন রাতেই মূল আসামি মেডিক্যাল প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম এবং পরদিন সকালে স্থানীয় নেতা জুলহাস মাতবরকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য আসামিদের গ্রেফতারের পাশাপাশি ডা. নুসরাত তারিন তন্বী ও তার পরিবারের আহত সদস্যদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা প্রদানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ বিষয় শরীয়তপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরান বলেন, দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার দিন রাতেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যজনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।