চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবনের দীর্ঘদিনের পথচলায় জন্মদিনে কখনো কোনো বড় আয়োজনের অনুষ্ঠান করেননি নায়ক ফেরদৌস। কারণ জন্মদিনকে তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতেন না কখনোই। জন্মদিনে শুধু পরিবারের সঙ্গেই বিশেষভাবে সময় কাটিয়েছেন তিনি।
যথারীতি এবারও তিনি তার স্ত্রী তানিয়া, তার দুই কন্যা ও মা, শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের সময় কাটাবেন সন্ধ্যার পর থেকে।
তার আগে তার রয়েছে নানানরকমের ব্যস্ততা। যেহেতু একজন সংসদ সদস্য হিসেবে তার প্রথম জন্মদিন। একটু বিশেষ আয়োজন নিজে না করলেও তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা তো করবেন, এমনটাই স্বাভাবিক। যেহেতু আজ ৭ জুন, ছয় দফা দিবস। তাই সকালেই ফেরদৌস ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এরপর তিনি রাজধানীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ-এ ‘সবুজ বনায়ন’ শিরোনামে তারই জন্মদিন উপলক্ষ্যে পাঁচ লাখ বৃক্ষ রোপণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
জুমার নামাজের পর ধানমণ্ডিতেই তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় কাটাচ্ছেন। সেখানে আগত অতিথি ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে জন্মদিন উপলক্ষ্যে সময় কাটাবেন। এরপর তিনি রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস-এ তার বাসায় চলে যাবেন, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে।
জন্মদিন প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন, আমার চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কখনোই কিন্তু আমার জন্মদিন বিশেষভাবে উদ্যাপন করিনি। জন্মদিনে আমি বিশেষ কোনো উচ্ছ্বাস করি না কখনো। আমার কাছে জন্মদিন অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক একটি দিন। হ্যাঁ দিনটি হয়ত অন্যরা বিশেষ করে তুলে। এখন তো ফেসবুকে সবাই যার যার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। এটাও ভালোলাগার একটি দিক। আমিও ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হই। যারা আমার অভিনয়কে ভালোবেসে আমাকে ভালোবাসছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
তিনি আরও বলেন, এখন আমার রাজনৈতিক জীবন। প্রধানমন্ত্রী আমার উপর আস্থা রেখেছেন, আমি যেন তার সেই আস্থার মর্যাদা রাখতে পারি আমার কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে এই দোয়া চাই। মানুষের জন্য নিবেদিত থেকে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। বাকিটা জীবন মানুষের কল্যাণেই কাজ করে যেতে চাই।
ফেরদৌস অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছটকু আহমেদ’র ‘আহারে জীবন’। যেহেতু এখন সংসদ চলছে, তাই আগামী ঈদের জন্য নানান ধরনের বিশেষত টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে।