পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা মীর আফসার আলী। বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘মীরাক্কেল’-এর মীর নামেই পরিচিত যিনি। অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার না হলেও সঞ্চালনা, উপস্থাপনা ও রেডিও জকি হিসেবেও নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন এই তারকা। দুই বাংলাতেই মীরের রয়েছে সমান ভক্তসংখ্যা।
৩১ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মীরের কোনও আক্ষেপ, আফসোস, ক্লান্তি নেই। ৫০ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার প্রাপ্তির পাল্লা সবচেয়ে বেশি ভারী। এত মানুষকে আনন্দ দিতে পেরেছি, সাধারণ মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, আর এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে আমার প্রফেশনের জন্য।’
‘চারিদিকে এত নেগেটিভিটি, কূটকাচালির ভিড়ে কাউকে হাসানোর তৃপ্তির চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছুই হতে পারে না।’ এত দিন দর্শককে বিনোদন দিয়ে এলেন যিনি, তার মুখে হাসি ফোটায় কে এমন প্রশ্ন করা হলে মীর বলেন, ‘আমার মেয়ে মুসকান, ওর নামের অর্থ হল হাসি। আমার খুশি থাকার, ভালো থাকার অন্যতম কারণ সে।’
তার কথায়, ‘এখন যেহেতু আমি আর কোনও কর্পোরেট অফিসে কাজ করি না। একেবারে স্বতন্ত্র ভাবে কাজ করছি তাই মাঝেমাঝেই বিশ্বাস করতে হয় যে, আমি নিজেই ব্র্যান্ড। কাজের স্বার্থে এটুকু না করলে চলে না।’
চাকরি ছাড়ার কারণ উল্লেখ করে মীর বলেন, ‘একটা সময় আমারও মনে হতো রেডিও আর আমি একে-অপরের পরিপূরক। রেডিও ছাড়া নিজেকে ভাবতে পারতাম না। সেই আমিই তো দিব্যি ভালো আছি, কাজ করছি নিজের মতো। জানি না এটা কীভাবে হলো। তবে আমি আর কাউকে কাজ নিয়ে জবাবদিহি করতে চাইছিলাম না। আমার চাকরি ছাড়ার এটাই অন্যতম কারণ।’
মীরের ভাষ্য, ‘আমি বিশ্বাস করি গলার স্বর আমার অন্যতম সম্পদ। আমার অবচেতনে সব সময় ভয় কাজ করে, কোনও দিন সেই স্বর যদি হারিয়ে যায়, আমি শেষ হয়ে যাব।’