চায়ের পাশাপাশি কফি অনেকেরই পছন্দের তালিকায় চলে এসেছে। সকালে ঘুমের আমেজ কাটাতে কিংবা কাজের ফাঁকে জড়তা কাটাকে কফির জুড়ি মেলা ভার। ক্লান্তি কাটিয়ে মুহূর্তেই চাঙ্গা করে তোলে কফি। প্রতিদিন পরিমিত কফি পান করলে তা আপনাকে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। জেনে নিন কফি পানের কিছু উপকারিতা –
দুচিন্তা দূরে থাকে-দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ বর্তমান সময়ে আরেকটি বড় সমস্যা। কারণ এগুলোই আরও বড় কোনো সমস্যা ডেকে আনতে পারে। শরীরে নানা অসুখ বাসা বাধার পেছনেও এই দুশ্চিন্তা দায়ী। কিন্তু আপনি কি জানেন, কফি আপনার দুশ্চিন্তা দূরে রাখতে সাহায্য করবে? মানসিক চাপ কমাতে আপনি প্রতিদিন পরিমিত কফি পান করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, অতিরিক্ত কফি স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
ক্লান্তি কাটায়-ক্লান্তি আসা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। বরং প্রতিদিনের কাজের শেষে ক্লান্ত অনুভব করাটাই স্বাভাবিক। এই ক্লান্তি কাটাতে সাহায্য নিতে পারেন কফির। কফি পান করলে আপনি সতেজ বোধ করবেন। ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস হয় গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত সীমিত পরিমাণে কফি পান করলে ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে-টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। আপনাকে এই ঝুঁকি থেকে দূরে রাখতে পারে কফি। আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির একটি গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত তিন থেকে চারকাপ কফি পানের ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
কখন কফি পান সবচেয়ে উপকার
আপনার যদি সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কফি পানে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে এটি সঠিক সময়। এই সময়ে কফি পান করা সবচেয়ে নিরাপদ। আপনি যদি ১২টা থেকে ১টার মধ্যে কফি পান করেন, তবে এই সময়ে কফি পান করা আপনার পক্ষে তেমন উপকারী না-ও হতে পারে