বিশ্ববাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষদিন শুক্রবারেই বেড়েছে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এতে আবারও আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম ১৯০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মহামারি করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অস্থির হয়ে ওঠে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার ডলার ছাড়িয়েছে।
এদিকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ায় চলতি সপ্তাহেই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে বলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) সূত্রে জানা গেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। দফায় দফায় দাম বেড়ে আগস্টের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২ হাজার ৭৪ ডলারে ওঠে।
এর আগে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম পতনের মধ্যে পড়ায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৪৪৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরি ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরি ৬২ হাজার ১১১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ইউরোপে করোনার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, কেউ ধারণা করতে পারছে না। অপরদিকে আমেরিকার নির্বাচনও কাছে চলে এসেছে। সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের যে দাম বেড়েছে তাতে বাংলাদেশে ভরিতে ৪ হাজার টাকা বাড়ানো উচিত। স্বর্ণের দাম বাড়ানোর জন্য আমার ওপর এক প্রকার চাপ আসছে। আমরা আগামী সোমবার দেখব। যদি সোমবারও বিশ্বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে আমরা দাম বাড়াব।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি