আলেম ওলামা বা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের নয়, যারা আগুন, সন্ত্রাসের সাথে জড়িত তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘কোনো আলেম ওলামাদের তো নয়, এমনকি বিএনপির কোনো নেতাদেরও গ্রেফতার করে নাই সরকার। যারা আগুন-সন্ত্রাসের সাথে জড়িত তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিও দেখে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অপরাধীদের গ্রেফতার করছে। এখানে কল্পকাহিনী তৈরির কোনো সুযোগ নেই।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঢাকা, হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে নারকীয় তান্ডব চালানো হয়েছে তা এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, সন্ত্রাস আড়াল করে সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে বিএনপিই বক্তৃতা বিবৃতির মাধ্যমে মনগড়া কল্পকাহিনী তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।’
১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, তথাকথিত ৭ নভেম্বর এবং ২১ আগস্ট ঘটিয়ে চক্রান্তের পথে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন শেষ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই, তাই আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তার দক্ষ ও মানবিক নেতৃত্বে প্রথম ডোজের মত দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনও বাংলাদেশ সময়মতো সংগ্রহ করবে ইনশাআল্লাহ। ভ্যাকসিন সংগ্রহে সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা ভ্যাকসিন নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তাদের মনের কথা হচ্ছে বাংলাদেশ যেন ভ্যাকসিন না পায়। তারা দেশ ও জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী বক্তব্য এবং কাজে সিদ্ধহস্ত, যা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত।