সম্প্রতি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর অভ্যন্তরীণ হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে বছরের সেরা রসালো ফল কালীপুরের লিচু। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও পোকামাকড়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় এবছরও এ লাকায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
বাঁশখালীতে এবার প্রায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। তবে ঘরোয়া ও ব্যক্তি বিশেষে এর পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে বলে জানায় উপজেলা কৃষি অফিস। এদিকে, বাজারে আগাম লিচু আনতে পারায় অনেকটা খুশি হলেও ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। যদি পরিবেশ ভালো থাকে তাহলে করোনার কারণে গত দু’বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানায় লিচু চাষি ও বাগান মালিকরা।
এদিকে, লিচু বাজারজাত করতে বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটছে শ্রমিকদের। স্থানীয় বাজারগুলোতে ১শ’টি লিচু বিত্রিু হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। হাজার প্রতি ১২শ’ লিচু পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকায়। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে হাজার প্রতি ২ হাজার ৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা। তবে ছোট আকারের লিচু আরো একটু কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সবুজ কান্তি ধর বলেন, এবার চলতি মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মৌসুমি ফল আম, কাঁঠাল, লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। তবে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে লিচুর উৎপাদনও ভালো হয়েছে।
কালীপুর ছাড়াও বাঁশখালীর জলদী, সাধনপুর, পুকুরিয়া, বৈলছড়ি, শীলকুপ, চাম্বল ও পুঁইছড়ির পাহাড়ি এলাকায় লিচুর ভালো ফলন এবং চাষ হয়ে থাকে। তবে, সবচেয়ে বেশি ফলন ও চাষ হয় কালীপুর এলাকায়। প্রতি বছর এই এলাকার চাষিরা অন্তত কোটি টাকার লিচু বিক্রি করে থাকেন।