বরগুনা সদর উপজেলার লতাবাড়িয়া গ্রামে ব্রাইট এগ্রো নামের একটি কৃষি খামার স্থাপন করেন, অবসারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম। এ এগ্রো ফার্মেই ২০১৯ সালে মাছের পাশাপাশি ঝিনুকের মুক্তা চাষের প্রকল্প হাতে নেয় নুরুল ইসলাম। গড়ে তোলেন একটি প্রদর্শনী খামার।
খামারটিতে প্রাকৃতিক জলাধার থেকে মানসম্পন্ন ঝিনুক সংগ্রহ করে এর ভেতর ঝিনুকের খোসার গুড়া ও ২ ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যের সংমিশ্রণে বিভিন্ন ধরনের ডাইচ ভিতরে স্থাপন করা হয়। ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে ঝিনুকের ভিতরে মুক্তা আহরনের উপযুক্ত হয়।
এদিকে, নুরুল ইসলামের সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই এখন মুক্তা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে আগ্রহী চাষীরা বলছেন, মুক্তা চাষ করতে প্রয়োজন সরকারি সহায়তা।
বরগুনায় মুক্তা চাষে সম্ভাবনার বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। তিনি মুক্তা চাষে আগ্রহী কৃষকদের জন্য সরকারি ঋণ সহায়তা দেবার আশ্বাস দিয়েছেন।
জুয়েলারি, ওষুধ শিল্প, কসমেটিক্স, পেইন্টস ফরমুলেসনে মুক্তা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমাদের দেশে হাওর ও বিলে প্রাকৃতিকভাবে মুক্তা পাওয়া যায়। এটি চাষের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হলে, দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব।
ডেস্ক নিউজ/বিজয় টিভি