টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জেমি আক্তার (২২) নামে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর রোববার (৩০ জুন) সকালে মনিরকে গ্রেপ্তার করেছে ঘাটাইল থানা পুলিশ। মনির সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামের সমর আলীর ছেলে।
শনিবার (২৯ জুন) রাতে উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত জেমি উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের মানাজি গ্রামের প্রবাসী জামাল হোসেনের মেয়ে। জেমি দম্পতির সোহান (২) নামে একজন পুত্রসন্তানও রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মনির পেশায় একজন শ্রমিক। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিককলহ আগে থেকেই ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় গৃহবধূ রান্না করছিল। এ সময় ছেলে সোহান কান্নাকাটি করলে স্বামী মনির হোসেন স্ত্রীর সঙ্গে জেদ করে ঘরে নিয়ে তলপেটে লাথি, কিল-ঘুসি মারে ও গলায় চেপে ধরে। এ সময় গৃহবধূ জেমি প্রস্রাব ও মলত্যাগ করে দেয়।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা প্রথমে জেমিকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে নেয়। অবস্থায় গুরুতর হওয়ায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে জেমি মারা যান।
নিহত জেমির বড় বোন নাছিমা বলেন, চার বছর আগে পারিবারিকভাবে মনিরের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। সে চার মাসের গর্ভবতী ছিল। বিয়ের পর থেকেই আমার বোনকে নির্যাতন করতো। এর আগে কয়েকবার গ্রামের মাতাব্বর নিয়ে শালিস বসে মীমাংসা করে দেয়া হয়। জেমিকে প্রায় সময় বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো মনির। আমার বোনকে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম জানান, ঘটনার পর এলাকাবাসী ঘাতক মনিরকে নিজ বাড়িতেই বেধে রেখেছিল। পরে আমরা থানায় খবর দিয়ে মনিরকে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছি।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, অভিযুক্ত স্বামী মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মনিরের মাকেও আমাদের হেফাজতে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।