আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তার জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এই নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে, কী কী ক্ষেত্র দেখে তারা বলবেন যে নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হয়নি? সেটা তাদের বলতে হবে।
আজ (শনিবার) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সেটা বলে না, তারা ওই একইভাবে বলে যাচ্ছে, অবাধ-নিরপেক্ষ হয়নি—হ্যাঁ, নির্বাচন হয়েছে। কিছু দেশীয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বলা হয়। যারা বলছে বা যে কোনো দেশই বলুক, আমার তাদের কাছে এটাই প্রশ্ন; কীভাবে, কোথায় সমস্যা? সেটা তাদের বলতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পৃথিবীর বহু বড়, উন্নত দেশেও নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনও এখন দেখা যাচ্ছে, বিরোধীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এমনকি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এমন অবস্থা যে, অনেক জায়গায় খুনোখুনি হয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে এ দেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে ২১ বছর ক্ষমতা জনগণের হাতে ছিল না। ক্ষমতা বন্দী ছিল ক্যান্টনমেন্টে। জনগণের কোনো অধিকার ছিল না। আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিল।
বিশেষ বর্ধিত সভায় শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। সভাটি সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।