সাম্প্রতিক অতিবর্ষণ জনিত কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৩১টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৭১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং এ পর্যন্ত সাত হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসনসমূহ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তিন কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ২০০ টাকা। শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮২ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ ৭৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৩৭ হাজার এবং বিতরণ করা হয়েছে ৯০ হাজার ৮১২ প্যাকেট।
এছাড়াও ঢেউ টিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩০০ বান্ডিল এবং বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল, গৃহ মঞ্জুরি বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে নয় লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।
বন্যাকবলিত জেলাসমূহ হচ্ছে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ । বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৫৪ টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা ৯১৭ টি। পানিবন্দি পরিবার সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ৮৩৪ টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৪৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৮ জন ।
বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪১ জন। এর মধ্যে জামালপুরে ১৫ জন, লালমনিরহাটে ১ জন, সুনামগঞ্জে ৩ জন, সিলেটে ১ জন, কুড়িগ্রামে ৯ জন, টাঙ্গাইলে ৪ জন, মানিকগঞ্জে ২ জন, মুন্সীগঞ্জে ১ জন, গাইবান্ধায় ১ জন, নওগাঁয় ২ জন এবং সিরাজগঞ্জ জেলায় ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন ।
বন্যা কবলিত জেলা সমূহে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৫৯০ টি। এ পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত লোক সংখ্যা ৮৮ হাজার ২৯৪ জন। আশ্রয় কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৮৫৮ টি। বন্যাকবলিত জেলাসমূহে এ পর্যন্ত মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৯০১ টি এবং বর্তমানে চালু আছে ৩৮৫ টি।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি