দেশের মোট আয়তনের এক দশমাংশ এলাকা নিয়ে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা। এর মধ্যে শতকরা ৯০ শতাংশ এলাকা পাহাড় ও বনাঞ্চল দ্বারা পরিবেষ্টিত। তাই এসব অঞ্চলের লোকজন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বনাঞ্চলের বাঁশ ও কাঠের ওপর নির্ভরশীল।
বর্তমানে, রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় এই পাহাড়ি বাঁশকে কেন্দ্র করে অর্থনীতির মূল ভিত্তি গড়ে উঠেছে। উপজেলার তালুকদার পাড়া, শামুকছড়ি, বর্মাছড়ি, উল্টাছড়িসহ এর আশপাশের প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ এ বাঁশ বিক্রির সাথে জড়িত। এসব অঞ্চলে প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকার বাঁশ বিক্রি করেন স্থানীয়রা।
উৎপাদিত এসব বাঁশের দেশের বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমাণের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে বাঁশ উৎপাদন কমে গেছে। স্থানীয়রা জানান, ভূমি দখল, নির্বিচারে বন উজাড়, ভূমির ব্যবহারের ধরণ পরিবর্তন, অবৈজ্ঞানিকভাবে পদ্ধতিতে ভূমি ব্যবস্থাপনা, পরিবর্তিত চাষ পদ্ধতির ফলে বন ধ্বংস হওয়ার কারণে বাঁশ উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ বাঁশ সংগ্রহ থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ, কারিগরি এবং বাঁশ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাই অর্থনৈতিক ও পরিবেশ তাত্ত্বিক গুরুত্বের কারণে বাঁশের উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।