বেতন ইস্যু নিয়ে বুধবার (১০ জানুয়ারি) পুলিশ ধর্মঘট করার পর পাপুয়া নিউ গিনিতে ব্যাপক দাঙ্গার সূত্রপাত হয়েছে। রাজধানীতে পুলিশের অনুপস্থিতিতে ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে ‘সুবিধাবাদীরা’। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী এবিসি নিউজ এই খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন, পুলিশ ধর্মঘটে যাওয়ার পর পাপুয়া নিউ গিনির রাজধানীতে ‘সুবিধাবাদীরা’ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে।
রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে দাঙ্গায় আটজন এবং দেশের উত্তরে লে-তে আরও সাতজন নিহত হয়েছেন।
একটি রেডিও সম্প্রচারে গভর্নর পোয়েস পার্কপ বলেছেন, ঘটনাগুলো ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পর’ রাজধানী পোর্ট মোরেসবির সম্পত্তিগুলো ‘সুবিধাবাদী’রা লুট করা শুরু করেছিল।
ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, ‘আমাদের শহরে এক অভূতপূর্ব মাত্রার সংঘর্ষ দেখেছি আমরা, যা আমাদের শহর এবং দেশের ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেনি। এটি আজ রাতেই বন্ধ করতে হবে।’
চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, পাপুয়া নিউ গিনিতে চীনা মালিকানাধীন দোকানে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বেশ কয়েকজন চীনা নাগরিকও আহত হয়েছেন।
টিভি ফুটেজে পোর্ট মোরেসবির রাস্তায় হাজার হাজার মানুষকে দেখা গেছে। অনেক স্থানে কালো ধোয়া উড়তে দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে বলেন, ‘শহরে গতকাল পুলিশ কর্মস্থলে না থাকায় অনেকেই অনাচারের আশ্রয় নিয়েছিল।’ তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, রাজধানীতে উত্তেজনা কমে গেছে। শহরটির শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
পোর্ট মোরেসবিতে মার্কিন দূতাবাস বলেছে, দাঙ্গার পর পুলিশ কাজে ফিরেছে। তবে সেখানে এখনও উত্তেজনা রয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশটির পুলিশ গত এক বছরে সহিংস অপরাধ বৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই করেছে। বুধবার সকালে তাদের বেতন কর্তনের বিষয়টি জানতে পেরে ধর্মঘট শুরু করে পুলিশ।
একটি সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় পুলিশের ওপর একটি নতুন কর আরোপ করার কথা অস্বীকার করেছে দেশটির সরকার। বেতনের ঘাটতির কারণে যে কোনও ধরনের প্রশাসনিক ত্রুটি ঠিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মারাপে।