বার্সেলোনাকে তাদেরই ঘরের মাঠে এর আগেও দুবার বিধ্বস্ত করেছিল পিএসজি। সেই দুবারই বার্সা হেরেছিল ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে। এবার শুরুতে এগিয়ে গিয়ে জয়ের আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত হারের হ্যাটট্রিক মেনে নিতে হয়েছে স্বাগতিক স্প্যানিশদের। শেষ মুহূর্তের গোলে নাটকীয়ভাবে বার্সেলোনাকে হারিয়ে দিয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
বুধবার রাতে এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কম্পানিস স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে বার্সেলোনা। ম্যাচের ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সে রাশফোর্ডের ক্রস করা বল চমৎকারভাবে স্লাইড করে জালে পাঠান ফেরান তোরেস।
তবে মনোবল হারায়নি পিএসজি। শুরুর দিকে বার্সার প্রাধান্য থাকলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে ৩৮তম মিনিটে সমতা ফেরায় ফরাসি জায়ান্টরা। নুনো মেন্দেসের দারুণ পাস পেয়ে বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ান তরুণ ফরাসি তারকা সেনি মায়ুলু। সমতাতে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টা আক্রমণে দু’দলই গোলের চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য মিলছিল না। উভয় দলই আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে। তবে কেউই পাচ্ছিল না গোলের দেখা। বর্তমান ও সাবেক দুই চ্যাম্পিয়নের তুমুল লড়াইয়ে কেউ জিতবে না, শেষমেশ ১-১ গোলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে- এমনটাই ভেবে নিয়ে মাঠ ছাড়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছিলো অনেকে। তবে, ম্যাচের শেষ পর্যায়ে মাঠে অবতারণা ঘটে এক নাটকীয় মুহূর্তের।
একের পর এক আক্রমণে বার্সেলোনাকে চেপে ধরা পিএসজি এগিয়ে যায় ৯০তম মিনিটে। আশরাফ হাকিমির ক্রসে ক্লিনিক্যাল ফিনিশে জালে বল জড়িয়ে ফরাসি ক্লাবটিকে জয় এনে দেন বদলি হিসেবে মাঠে নামা পর্তুগিজ তারকা গনসালো রামোস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২-১ গোলের এ জয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার মাঠে তিনবার জয় পাওয়া প্রথম দল হলো ফরাসি জায়ান্টরা।
এ জয়ে ৩৬ দল নিয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতার পয়েন্ট তালিকায় তিনে উঠে এসেছে পিএসজি। তাদের ওপরে আছে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে প্রথম হারে ১৬ নম্বরে নেমে গেছে কাতালানরা।