থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সীমান্ত সংঘর্ষ গড়িয়েছে দ্বিতীয় দিনে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুই দেশের সেনাবাহিনী ভারী কামান ও রকেট দিয়ে একে অপরের দিকে হামলা চালিয়েছে।
যার ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১৫ জনে। মূলত সংঘর্ষ বন্ধে আন্তর্জাতিক আহ্বান সত্ত্বেও দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছেই। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর হওয়ার আগেই থাইল্যান্ডের উবন রাতচাথানি ও সুরিন প্রদেশে কাম্বোডিয়ার সেনারা রুশ-নির্মিত বিএম-২১ রকেট সিস্টেম ও ভারী কামান দিয়ে হামলা চালায়। এই হামলার জবাবে থাই সেনাবাহিনীও “যথাযথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা” নেয় বলে জানানো হয়।
থাইল্যান্ড জানায়, ১ লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষটি শুরু হয় বৃহস্পতিবার একটি বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায়। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এই সীমান্তে সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিরোধ চলছে। ছোট অস্ত্রের গুলির লড়াই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কমপক্ষে ছয়টি অঞ্চলে ভারী গোলাগুলিতে। মূলত থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার সীমান্ত বরাবর প্রায় ১৩০ মাইল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এই সংঘর্ষ।
থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশে রয়টার্সের সাংবাদিকরা শুক্রবারও থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শুতে পাচ্ছেন এবং স্থানীয় রাস্তা ও পেট্রোল পাম্পগুলোর আশপাশে সশস্ত্র সেনা উপস্থিতি বাড়তে দেখেছেন।
এছাড়া থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনীর একটি বহর — যাতে ডজনখানেক ট্রাক, সাঁজোয়া যান ও ট্যাঙ্ক রয়েছে — ধানক্ষেত ঘেরা প্রাদেশিক সড়ক দিয়ে সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।