প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ২০১৭-য় ক্ষমতার আসার পরে টানা তিন বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। জনপ্রিয়তার নিরিখে কিছু সমীক্ষায় তিনি সুদর্শন মাকরঁকেও হার মানিয়েছেন। সেই এদুয়ার্দ ফিলিপ শুক্রবার প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করে আজই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জঁ কাসতেক্সের নাম ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, পদত্যাগ করলেও নতুন প্রধানমন্ত্রী বহাল হওয়ার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন ফিলিপই। সম্ভবত রবিবারের মধ্যেই সেই রদবদল হয়ে যেতে পারে বলে জল্পনা প্রশাসনের অন্দরে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, করোনায় অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত সরকার। সম্প্রতি স্থানীয় ভোটেও খারাপ ফল করেছে মাকরঁর দল। কোনও বড় শহরেই তাঁরা জিততে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনে রদবদল এনে সরকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন অনেকে। মাকরঁ নিজেও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ‘পুনর্জাগরণ’ ও ‘নতুন পথ’ খোঁজার কথা বলেছেন তিনি। বিরোধী মহলে অবশ্য গুঞ্জন, আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে প্রেসিডেন্টের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে কারণ যা-ই হোক-না কেন, ফ্রান্সে এই ধরনের রদবদল নতুন নয়। পূর্ণমেয়াদের পাঁচ বছরে প্রশাসনে আগেও বড় রদবদল এনেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা। তবে মাকরঁ সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঠিক কি না, করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতেই জবাব মিলবে। সূত্র: আনন্দবাজার