মালয়েশিয়ায় ক্রমবর্ধমান কোভিড – ১৯ সংক্রমন প্রতিরোধে দেশটিতে চলছে ১৩ জানুয়ারি থেকে মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) ২.০ লকডাউন চলবে ৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত । সংগত কারণেই থমকে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার সাথে সাথে দেশটির অর্থনীতি। অবশেষে নানা আলোচনা সমালোচনার মুখে লকডাউন প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছে দেশটির সরকার।
এদিকে গুজব রটেছিল আগামী ৪ঠা ফ্রেব্রুয়ারীর পর থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হবে। সব গুজবের অবসান ঘটিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারীর পর নতুন করে লকডাউন আর বৃদ্ধি না করার স্বীদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক তান শ্রী ডাঃ নূর হিশাম আবদুল্লাহ ভার্চ্যুয়াল মিডিয়া সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খবরঃ মালয়েশিয়ান অনলাইন সংবাদ মাধ্যম দ্য স্টার। এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা বুঝতে পারছি লকডাউনে আমাদের দেশের অর্থনীতি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের জিডিপি কমে যাবে। তাই আগামী ৪ ফ্রেব্রুয়ারী পর্যন্ত লকডাউন অনুসরণ করি।
মানুষের জীবন জীবিকার জন্য অর্থনীতি ও টিকিয়ে রাখার প্রয়োজন আছে। এরপরে আর নতুন করে লকডাউন বাড়ানো নাও হতে পারে। তখন শর্ত সাপেক্ষ কন্ডিশনাল মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার সিএমসিও পূর্বের মত জারি করা হতে পারে। বর্তমানে কোভিড -১৯ সংক্রমন স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে আশা করা যাচ্ছে এটা ২ সংখ্যায় নামিয়ে আনা যাবে।
ডাঃ হিশাম আরো বলেন, ফ্রেব্রুয়ারীর শেষের দিকে দেশে ভ্যাকসিন প্রদানের কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রথমদিকে প্রায় ৫ লাখ এই টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। চলবে মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত। আমরা এমসিও দীর্ঘায়িত করতে চাই না। যদি এটি দীর্ঘায়িত হয় তবে আমাদের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আমাদের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি, জীবন ও জীবিকার ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। ইতিমধ্যে কোভিড ১৯ চিকিৎসা বেগবান করতে ১৩০ টি বেসরকারি হাসপাতালের সাথে কথা বলেছি। এর মধ্যে ৯৫ টি হাসপাতাল রাজি হয়েছে। সেখানে দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি প্রস্তুত করা হচ্ছে।