ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যতটা সোচ্চার পশ্চিমা বিশ্ব, ঠিক ততটাই নিরব মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে। ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান কিংবা লিবিয়ায় চলা ইহুদিদের গণহত্যা যেন কিছুতেই চোখে পড়ে না পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর।
ইউক্রেন ইস্যু সামনে আসায় গোটা বিশ্ব দেখছে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিমুখিতা। যেখানে পিছিয়ে নেই পশ্চিমা প্রভাবিত ফিফা ও উয়েফাও। ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে হামলার কারণে সবধরনের ফুটবল থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছে ফুটবলের এ দুটি সংস্থা। অথচ, বিশ্বের নাকের ডগায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনে চুপটি মেরে থাকে তারা। এমনকি, ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা উয়েফা স্টোডিয়ামে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ানোয় আয়ারল্যান্ডের ক্লাব ডানডাল্ককে জরিমানাও করা হয়!
পশ্চিমা বিশ্বের এমন দু’মুখো নীতি মানতে পারছেন না জার্মানির সাবেক মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল। সরাসরি না বললেও পশ্চিমা নীতির বিপরীত কথা বলেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
বর্তমানে তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাচে খেলা এই তারকা মনে করেন, শুধু ইউক্রেন নয়; ফিলিস্তিন, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনসহ বিশ্বের যেসকল দেশ যুদ্ধে আক্রান্ত হয়েছে তাদের জন্যেও যেন প্রার্থনা করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করে রিয়াল মাদ্রিদ ও আর্সেনালে খেলা তারকা এই মিডফিল্ডার লিখেছেন, আসুন গোটা দুনিয়ার শান্তির জন্য দোয়া করি। শুধুই ইউক্রেন নয়, ফিলিস্তিন-ইরাক-সিরিয়া ও ইয়েমেনসহ পৃথিবীর যে দেশগুলো যুদ্ধে ভুগছে তাদের জন্যও দোয়া করি।
বিশ্বের কাছে একজন পরিশ্রমী খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত মেসুত ওজিল, ২০১৮ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে একটি ছবি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। পরে অপমান সইতে না পেরে অনেকটা ক্ষোভে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডার।