হংকং সফরে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) লিওনেল মেসির অনুপস্থিতি আয়োজকদের বেশ হতাশ করেছে। প্রাক-মৌসুমে আগের চার ম্যাচে জয়ী হতে ব্যর্থ ইন্টার মিয়ামি স্বাগতিক হংকংকে ৪-১ গোলে হারালেও তা মেসিভক্তদের মোটেই সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এমনকি ম্যাচের শেষে মিয়ামি মালিক ডেভিড বেকহ্যাম ও কোচ জেরার্ডো মার্টিনোকে দুয়ো ধ্বনিও শুনতে হয়েছে। খোদ হংকং সরকার মেসির অনুপস্থিতিতে আয়োজকদের ওপর দারুণ ক্ষুব্ধ হয়েছে।
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যায় ভুগছেন আটবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মেসি। গতকাল যে কারণে মিয়ামির হয়ে তিনি মাঠে নামেননি। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য মার্টিনো মেসির খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। হংকংয়ের প্রীতি ম্যাচটিতে মার্টিনো বদলি বেঞ্চে রেখেছিলেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা সার্জিও বাসকুয়েটস, লুইস সুয়ারেজ ও জোর্দি আলবাকেও।
আর তাতেই হতাশ সমর্থকরা চিৎকার করে টিকেটের অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবি জানায়। হংকং সরকার বলেছেন আয়োজক টালটার এশিয়ার কাছ থেকে তারা অর্থ কেটে রাখবেন।
মেজর স্পোর্টস ইভেন্টস কমিটিকে (এমএসইসি) এই ম্যাচ আয়োজনের জন্য হংকং সরকার ১৫ মিলিয়ন হংকং ডলারের সাথে ভেন্যুর জন্য আরো এক মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মেসি না খেলায় আয়োজকদের উপর দারুন হতাশ হয়েছে ফুটবল সমর্থকরা। এজন্য আয়োজকদের অবশ্যই সকলের কাছে জবাবদিহী করতে হবে। আয়োজনের শর্তানুযায়ী মেসিকে না খেলানোর জন্য তাদের কাছ থেকে অর্থও কেটে রাখা হবে।’
আয়োজক কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে। তারা আশা করেছিল মেসি ও সুয়ারেজ দুজনেই মূল দলে খেলবেন। কিন্তু তা না হওয়ায় তারাও হতাশ। এমনকি তাদের না খেলার বিষয়টি আগে থেকে কেউই জানতো না। মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট তাদেরকে আনফিট ঘোষণা করেছে। মার্টিনো জানিয়েছেন, ইনজুরির ঝুঁকি থেকে বাঁচতে তাদেরকে খেলানো হয়নি।